জর্জিটাউনে ইহুদি শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক বদর খান সুরির প্রতিবাদ আটকে

জর্জিটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩০ টিরও বেশি ইহুদি শিক্ষার্থী, কর্মী এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর করেছেন সর্বজনীন চিঠি গবেষক বদর খান সুরির গ্রেপ্তার ও আটকের বিরোধিতা করে বলেছিলেন যে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের নীতিমালা ক্যাম্পাসে ইহুদিদের কম নিরাপদ করে তুলেছে।

ইহুদি শিক্ষার্থীরা যারা স্বাক্ষর করেছে সুরি’র গ্রেপ্তার ও আটককে স্বাক্ষর করেছে “একটি কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপ যা পুরো ক্যাম্পাস সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে।”

শুক্রবার জর্জিটাউনের সংবাদপত্র “দ্য হোয়া” তে চিঠিটি প্রকাশিত হয়েছিল।

সুরি, জর্জিটাউনে পোস্টডক্টোরাল ফেলো এবং একজন ভারতীয় নাগরিক, মুখোশধারী ফেডারেল এজেন্টদের দ্বারা গ্রেপ্তার হয়েছিল মার্চ মাসে রমজান ইফতারের অনুসরণ করে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা হামাস প্রচার প্রচারের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের জনগণের বিষয়ক সহকারী সচিব ট্রিকিয়া ম্যাকলফলিন এক্স বলেছেন: “সুরি জর্জিটাউন ইউনিভার্সিটির একজন বৈদেশিক মুদ্রার শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে হামাস প্রচার ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধীতা প্রচার করেছিলেন। সুরির একজন পরিচিত বা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর সাথে ঘনিষ্ঠ সংযোগ রয়েছে, যিনি হামাসের সিনিয়র উপদেষ্টা।”

নিউইয়র্ক টাইমসের মতে সুরির শ্বশুর শ্বশুর পূর্বে হামাসের উপদেষ্টা ছিলেন।

সুরির আইনজীবীরা অস্বীকার করেছেন যে তিনি প্রচার ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে সুরি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে তাদের সমর্থন এবং গাজার সাথে সম্পর্কের জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

এনপিআর এই চিঠির দাবিতে মন্তব্য করার জন্য প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছিল – যে বিশিষ্ট আটক এবং নির্বাসন হুমকিসহ বিরোধীতাকে অস্ত্র দেয়। ডিএইচএসের ট্রিসিয়া ম্যাকলফ্লিন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, “সন্ত্রাসীদের গৌরব ও সমর্থনকারী ব্যক্তিদের সমর্থন করে, ইহুদিদের হয়রানি করা এবং আমেরিকান ও ইহুদিদের হত্যার স্বাদ গ্রহণকারী সংস্থাগুলির বিডিং করে এমন ব্যক্তিদের বিডিং করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা প্রত্যাহার করে বিশ্বাস করার জন্য অত্যন্ত অযৌক্তিক মানসিক জিমন্যাস্টিকস সত্যিকার অর্থে ইহুদি শিক্ষার্থীদের কম নিরাপদ করে তুলেছে।”

ইহুদি জর্জিটাউনের শিক্ষার্থী, অধ্যাপক এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের চিঠিতে অংশে লেখা আছে, “রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প তার কর্তৃত্ববাদী এজেন্ডার জন্য স্মোকস্ক্রিন হিসাবে ইহুদি পরিচয়, বিশ্বাস এবং বিরোধীতার ভয়কে অস্ত্র প্রদান করছেন, যা প্রত্যেকের জন্য ক্যাম্পাসের জলবায়ুর আরও ক্ষতি করে।”

বিরোধীতা গঠন কি উপর মতবিরোধ

ট্রাম্প প্রশাসন কর্মী মাহমুদ খলিলকে আটক করার জন্য তার মামলা করার একদিন পর জর্জিটাউন চিঠিটি প্রকাশিত হয়েছিল, যিনি হামাস সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। প্রশাসনের যুক্তি মূলত বিরোধী অভিযোগের উপর নির্ভর করে এবং “বিঘ্নিত কার্যক্রম”।

এটি মার্কিন নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন পরিষেবাগুলির দু’দিন পরেও আসে ঘোষণা করা এটি স্ক্রিনিং শুরু হবে অ্যান্টিসেমিটিক ক্রিয়াকলাপের প্রমাণের জন্য অভিবাসীদের সোশ্যাল মিডিয়া।

জানুয়ারিতে, ট্রাম্প একটি জারি করেছিলেন এক্সিকিউটিভ অর্ডার এটি বিশেষত কলেজ ক্যাম্পাসগুলিতে বিরোধীতা মোকাবেলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।

জর্জিটাউনে কিছু ইহুদি এই জাতীয় নীতিগুলির অনুপ্রেরণা এবং পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

“ফেডারেল সরকার কর্তৃক তাদের সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ব্যক্তিদের কাছ থেকে আসা এবং ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য এই আক্রমণকে ন্যায়সঙ্গত করার জন্য … এটি আমাদের সুরক্ষার জন্য কিছুই করে না,” জনসাধারণের চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ডেমোক্রেসি অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রোগ্রামের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জোনাথন মেন্ডোজা বলেছেন।

জর্জিটাউনে স্বাক্ষরকারী এবং প্রথম বর্ষের আইন শিক্ষার্থী এমা পিন্টো বলেছিলেন যে প্রশাসন পোস্ট করার সময় তিনি বিশেষত বিরক্ত হয়েছিলেন, “শালম মাহমুদ” (মাহমুদ খলিলের প্রসঙ্গে) এক্স। তার কাছে, এটি ইহুদিরা সমাজে অযৌক্তিক ক্ষমতার ক্ষমতা রাখে এমন বিরোধী ট্রপকে শক্তিশালী করে।

জর্জিটাউন চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী, অনুষদ, কর্মী এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী, যারা বলে যে তারা “ইস্রায়েল-প্যালেস্টাইন সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত এবং দৃষ্টিভঙ্গি” রাখে।

পিন্টো বলেছিলেন যে এই পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, স্বাক্ষরকারীরা সুরির আটকের প্রশ্নে একত্রিত বোধ করেছিলেন। তারা সম্মত, পিন্টো বলেছিলেন, সুরি, খলিল এবং রুমিসা ওজটুর্কের গ্রেপ্তার এবং আরও অনেকের শিক্ষার্থীর প্রত্যাহার এবং কাজের ভিসা – নাগরিক স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে এবং ভয়ের জলবায়ু তৈরি করে।

“আপনি ফিলিস্তিন অ্যান্টিসেমিটিকের জন্য সমস্ত প্রতিবাদ পেতে পারেন,” পিন্টো বলেছিলেন। তবে, “আপনি এও সম্মত হন যে মানুষকে আটক করা এবং কোনও সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় বপন করা উপায় নয়।”