/ খেলা / ফিরতি লেগেও ফিলিস্তানের কাছে হারল বাংলাদেশ
ফিরতি লেগেও ফিলিস্তানের কাছে হারল বাংলাদেশ
খেলা ডেস্ক:
|
হারলেও বাংলাদেশ কিছুটা সান্ত্বনা খুঁজতে পারে।গত সপ্তাহে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম লেগে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ৫-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে মঙ্গলবার ফিরতি লেগে কাবেরার শিষ্যদের হারটা এসেছে ১-০ ব্যবধানে।তবে সান্ত্বনা থেকে বেশি আক্ষেপে পোড়ার কথা জামাল ভুঁইয়াদের।কারণ দারুণ লড়াইয়ে শক্তিশালী ফিলিস্তিনকে প্রায় রুখেই দিয়েছিল বাংলাদেশ।ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি বাংলাদেশ হজম করে একেবারে অন্তিম মুহূর্তে।দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে অসাধরণ এক গোলে ফিলিস্তিনকে স্বস্তির জয় এনে দেন মিচেল তেরমানিনি। এই হারে ভাঙল কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশের টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড।২০০৬ সালে প্রথম দেখায় ড্রয়ের পর ফিলিস্তিনের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা সাত ম্যাচ হারল দল। বাছাইয়ের ‘আই’ গ্রুপে এ নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭-০ গোলের হার দিয়ে গ্রুপ পর্বে যাত্রা শুরুর পর কিংস অ্যারেনাতেই লেবাননের বিপক্ষে ১ -১ গোলে ড্র করেছিল কাবেরার দল।এরপর দুই লেগ মিলিয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হারটা এল ৬-০ ব্যবধানে। একাদশে দুটি পরিবর্তন এনে খেলতে নামা বাংলাদেশ অবশ্য প্রথামার্ধেই হজম করতে পারত। তবে প্রথম লেগে গোলপোস্টের নিজে বাজে সময় কাটানো গোলরক্ষক মিতুল এদিন ছিলেন দুর্দান্ত। ৩৫তম মিনিটে ওদেই দাব্বাঘের কাছের পোস্টে নেওয়া শট আটকানোর চার মিনিট পর মুসাব বাত্তার ফ্রি কিকে শেহাব কুম্বরের হেড ফিরিয়ে দেন তিনি।জমাট রক্ষণে বাংলাদেশ অবশ্য খুব বেশি সুযোগও তৈরি করতে দেয়নি অতিথিদের। ৪৪ মিনিট জামাল ভূঁইয়ার বুদ্ধিদীপ্ত থ্রু থেকে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তাঁর শট লাগে আগুয়ান গোলকিপারের গায়ে।গোলশুন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পরেও আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চললেও সফল হতে পারছিল না কোন দলই। বিশেষ করে মিতুল-বিশ্বনাথের দৃঢ়তায় ব্যর্থ হয়ে গেছে ফিলিস্তানের একের পর এক আক্রমণ। ৭৩তম মিনিটে নিখুঁত স্লাইডে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন বিশ্বনাথ। একটু পর মিতুল ফেরান ওদেই খারৌবের শট। দশ মিনিট পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মিতুল, বদলি নামেন মেহেদী হাসান শ্রাবণ। ৯০তম মিনিটে মাহমুদ ধাধার হেড অল্পের জন্য যায় বাইরে। এরপরই ইসা ফয়সালের পাস ধরে বক্সে গোলরক্ষককে পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি রাকিব। গোলরক্ষকের চার্জে বল হারানোর সঙ্গে পড়ে যান তিনি। এই ফরোয়ার্ডকে জোর করে তুলতে গিয়ে লাল কার্ড দেখেন আহমেদ মাহাজনেহ। দশ জনের ফিলিস্তিনই দ্বিতীয়ার্ধের শেষে বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙে। বাত্তার ক্রসে বার্তান ইসলাম হেড পাসে বল দেন বক্সে ফাঁকায় থাকা তেরমানিনিকে। নিখুঁত কোনাকুনি শটে খুঁজে পায় জাল,বিফলে যায় বাংলাদেশের সব প্রতিরোধ। |