/ সারাদেশ / অনৈতিক সহিংসতার শিকার : কমলগঞ্জ , মৌলভীবাজারের মামুন ও তার পরিবার
অনৈতিক সহিংসতার শিকার : কমলগঞ্জ , মৌলভীবাজারের মামুন ও তার পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
আমাদের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের দেশে নির্ভয়ে এবং মর্যাদার সাথে বসবাসের অধিকার রয়েছে। সরকারের দায়িত্ব জনগণের মানবিক, নাগরিক, বাক স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার অধিকার রক্ষা করা। আতঙ্কজনক ঘটনা হল যে, বাংলাদেশে, আইনের রক্ষাকারীরাই ভক্ষক হয়ে উঠেছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মামুন আহমেদ ও তার পরিবারের ঘটনার দিকে তাকালে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবে। মামুনের পরিবারের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন, তাদের পরিবার নাগরিক ঐক্য ও রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চের সক্রিয় সমর্থক হওয়ার কারণে বর্তমান সরকারের কিছু দলীয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা তাদের পরিবার নিগৃহীত ও অত্যাচারিত । এক অনুষ্ঠানে কমলগঞ্জ স্থানীয় যুবলীগের আহ্বায়ক ও মেয়রের অফিস থেকে যুবলীগের নভেম্বরের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জন্য ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। মামুনের বাবা চাঁদা দিতে প্রত্যাখ্যান করলে যুবলীগ তাদেরকে সরকার বিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও লিপ্ত থাকার অভিযোগ দেয় এবং এই বেপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। যুবলীগ ক্যাডাররা ২০২৩ সালের ২২শে অক্টোবর মামুনের পরিবারের খামারবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালায় ও আগুন দেয়। দুর্ভাগ্যবশত, স্থানীয় পুলিশ মামুনের পরিবারকে সহযোগিতা করেনি; বরং, তারা তাদের সতর্ক করেছিল বর্তমান সরকার ও তাদের রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে আওয়াজ না তোলার জন্য। স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। আমাদের প্রতিবেদক মেয়রের কার্যালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কোনো সাড়া দেননি। পুলিশ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষহীতে এরপরে যুবলীগ ক্যাডাররা মামুনের বাড়ীতে পাথর, ইট, বাঁশের লাঠি নিক্ষেপ ও ভাংচুর করে। মামুনের বাড়ির সামনের দরজা-জানালা দিয়ে মামুনের যাওয়ার পথ আটকানোর চেষ্টা করে তাকে জোরপূর্বক অত্যাচার করার জন্য। মামুনের চাচাতো বোনকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয় । এ বিষয়ে বারবার লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে এবং কোমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনকেও জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর কমলগঞ্জে একটি সেমিনারে উপস্থিত থাকা কৃষিমন্ত্রী ডা. মোঃ আব্দুস শহীদ ও পুলিশ সুপার এর নিকট মামুনের চাচাতো ভাই একটি লিখিত অভিযোগ দেন যুবলীগের রাজনৈতিক ক্যাডারের বিরুদ্ধে । এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাডাররা এত তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়, যে তারা মামুন এবং তার চাচা উভয়কে আক্রমণ করে । এতে তাদের আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয় । এই সব কিছুর জন্য প্রধান অন্তর্নিহিত কারণ ছিল ভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, অবৈধ অনুদান, এবং দুর্নীতি যার সাথে জড়িত ছিল স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সরকার দলীয় কিছু নেতৃবৃন্দ। মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আশফাকুরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই খবর প্রকাশিত হওয়ার আগে, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-তে এই ব্যাপারে অভিযোগটি পেয়েছিল। সুশীল সমাজের সদস্য হিসাবে, রাষ্ট্রের কাছে এটাই আমাদের দাবি প্রত্যেক নাগরিকের সুরক্ষা তার সাংবিধানিক অধিকার। এই ঘটনায় মামুনের পরিবার যাতে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার পায় এবং দুষ্কৃতকারীদের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি হয় এটি আমাদের কামনা |